হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর জীবনী বই - Part 23

হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর জীবনী বই - Part 23

নাম বিবাহের সন

১। উজ্জ্বল মুনিনীন হযরত কাদীজাতুল কোবরা (রাঃ) নবুওতের ১৫ বৎসর পূর্বে ২। উন্মুল মু'নিনীন হযরত সাওদা বিনতে যামআহ (রাঃ) হিজরতের তিন বাসের পূর্বে
৩। উজ্জ্বল দু' নির্মান হযরত আয়েশা (রাঃ) হিজরতের তিন বৎসর পূর্বে ৪। উন্মুল মু'নিনীন হযরত হাফসা বিনতে ওমর (রাঃ) হিজরী তয় সন
৫. উন্মুল মু'নিনীন হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) হিজরী ৪র্থ সন ।

৬। উম্মুল মু'নিনীন হযরত জোয়ায়রিয়াহ (রাঃ) হিজরী ৫ম সন ৭। উম্মুল মু'নিনীন হযরত যয়নব বিনতে জহশ (রাঃ) হিজরী ৫ম ৮। উম্মুল মু'নিনীন হযরত উম্মে হাবীবাহ (রাঃ) হিজরী ৫ম সন ৯। উম্মুল মু'নিনীন হযরত মাইমুনা (রাঃ) হিজরী ৭ম সন।

১০। উম্মুল মু'নিনীন হযরত সুফিয়া (রাঃ) হিজরী ৭ম সন
১১। উম্মুল মু'নিনীন হযরত মারিয়ায়ে কিবতিয়াহ (রাঃ) হিজরী ৫ম সন খাদিজা (রাঃ) সম্পর্কে শেষ কথা
মহান রাব্বুল আলামীন খাদীজা (রাঃ)-কে বিশ্ব জাহানের রমণী কুলের জননী হিসেবে সৃষ্টি করেছিলেন।

যার কারণে মহানবী (সাঃ) ইসলাম প্রচারে প্রেরণা পেয়েছিলেন। সেই মহয়িসী রমণী জন্মগ্রহণ করেছিলেন আরবের এক ধণাঢ্য ব্যক্তি মুওয়াইলীদের ঘরে। জন্মের পর থেকেই বিবি খাদিজার চরিত্র ছিল নির্মল পরবর্তীতে যৌবনে এই মহিলার দানশীলতা, পবিত্রতা, ধার্মিকতা সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছিল।

জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মের লোক বিবি খাজিদ (রাঃ)-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। আরবের সেই অন্ধকার যুগেও তিনি যে মহৎ কীর্তি রেখে গেছেন তা আজ মানুষ নিদ্ধিধায় স্মরণ করে।
হযরত খাজিদা (রাঃ) আরবের ধণাঢ্য ব্যক্তিরদের অন্যতম ছিলেন বলে ই তিনি কখনও সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেন নাই বরং তার সমস্ত সম্পত্সিলামের খেদমতে দান করেছিলেন।

আরবের সমস্ত দুস্থ নর-নারীদের তিনি মুক্ত হস্তে দান করেছিলেন। যখন খাদীজা (রাঃ) মৃত্যুবরণ করল তখন সেই সমস্ত দুস্থ নর-নারীদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল ।
তৎকালীন আরবে কোন শিক্ষতি লোক ছিল না। শুধু মাত্র কুরাইশ বংশের হাতে গোনা কয়েকটি লোক শিক্ষিত ছিল।

খাদিজা (রাঃ) আনহা পিতার চেষ্টার বদৌলতে কিছু লেখাপড়া শিখেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি তাঁর চাচাতো ভাই ওরকা বিন নওফেলের নিকট থেকে আরো বেশি বিদ্যা অর্জন করেছিলেন । কারণ নওফেল ছিলেন একজন জ্ঞানী পণ্ডিত।

তাওরাত ও ইঞ্জিল কিতাব সম্বন্ধে নওফেলের গভীর জ্ঞান ছিল।
আরবের কুরাইশ বংশের লোকের পূর্ব থেকেই বিভিন্ন প্রতীমা, অগ্নি ইত্যাদির পূজা করত
তাদের কোন ধর্মগ্রন্থ তখনও ছিল না। তখন আরবে ইহুদী ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায় ছিল ।
ইহুদীগণের তাওরাত এবং খ্রিষ্টানদের ইঞ্জিল ধর্মগ্রন্থ ছিল ।

সুতরাং ইহুদী এবং খ্রিষ্টানদের অন্য কোন ধর্মগ্রন্থকে ঘৃণা করত । হযরত খাদীজা (রাঃ) তৎকালীন যুগেও ধর্মের কুসংস্কারকে পরিহার করে প্রকৃত বিষয়বস্তু জেনে নিয়েছিলেন। তাই তিনি আখেরী জানামার শেষ নবী হযরত (সাঃ)-কে পূর্ব থেকেই নিচতে পেরেছিলেন।

মহানবী (সাঃ) খাদিজা (রাঃ)-কে কিরূপ ভালবাসতেন তা আমরা দেখতে পাই খাদিজা (রাঃ) জীবিত থাকাকালীন সময়ে তিনি কোন দ্বিতীয় বিয়ে করেন নাই । কুরাইশ বংশে তখন একাধিক বিয়ের প্রচলন ছিল । মহানবী (সাঃ) খাজিদা (রাঃ)-এর মৃত্যুর বিয়ে করেছিলেন ।
সেই সময় ইসলাম ধর্মে একাধিক বিয়ের ব্যাপারে কোন বাধা নিষেধ ছিল না ।

মহানবী (সাঃ)-এর সকল পত্নীদের মধ্যে বিবি খাদীজা (রাঃ)-এর কন্যা ফাতিমা (রাঃ)-এর বংশের লোকেরা নবী বংশী বলে পরিচিত।
সুতরাং হযরত খাদীজা (রাঃ) আনহা-এর মর্যাদা মহান আল্লাহ্ তা'আলা কত গুণ দিয়েছিলেন তা সহজেই বুঝা যায়।