হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর জীবনী বই - Part 5

হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর জীবনী বই - Part 5

হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর শিক্ষা জীবন

আরবের অবস্থা সে সময় শোচনীয় হলেও ব্যতিক্রমধর্মী গোত্র ও পরিবারগুলোতে শিক্ষা-দীক্ষার প্রচলন মোটামুটি ছিল। তবে শিক্ষার ধারা ও রীতি-নীতি বর্তমান যুগের মত ছিল না। তখন শিক্ষা-দীক্ষার চর্চা যে রীতিতে সম্ভব, সে রীতিতেই লোকেরা শিক্ষা-দীক্ষা লাভ করত ।

হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর পিতা খোয়াইলিদ একজন উচ্চ শিক্ষিত ও সুযোগ্য পুরুষ ছিলেন। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তিনি তার আদরের কন্যাটিকে উত্তম শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে মনোযোগী হলেন ।

তাকে শিক্ষা প্রদানের ভার তিনি নিজেই গ্রহণ করলেন। তা ছাড়া তার পরিবারস্থ লোকেরা অনেকেই উচ্চশিক্ষিত ছিলেন। তারাও হযরত খাদীজা (রাঃ)-কে শিক্ষা প্রদান করতেন ।
হযরত খাদীজা (রাঃ) যথেষ্ট মেধা সম্পন্ন বালিকা ছিলেন। 

তাই অনায়াসে বালিকা খাদীজা (রাঃ) বেশ কিছু শিক্ষালাভ করলেন ।
হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর পিতৃ পরিবারস্থ লোকেরা বংশগতভাবেই খৃষ্ট ধর্মাবলম্বী ছিলেন।
তাই তাদের পরিবারে তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাব দুখানির খুব বেশি চর্চা হত। 

পরিবারের প্রায় সকলেই এ দুটি গ্রন্থের জ্ঞান আয়ত্ত করেছিল
কাজেই তাদের মাধ্যমে ও পিতার চেষ্টায় হযরত খাদীজা (রাঃ) উত্তমরূপে তৌরাত ও ইঞ্জিলের জ্ঞান পুরাপুরিভাবে অর্জন করতে পেরেছিলেন। যার ফলে হযরত খাদীজা (রাঃ) তখন শুধু 'তাহেরা' খাদীজা (রাঃ)-ই রইলেন না; বরং তখন থেকে তিনি আলিমা খাদীজা (রাঃ)-তেও পরিণত হলেন।

হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর দৈহিক সৌন্দর্যের বর্ণনা

“আল্লাহ পাক যাকে দান করার ইচ্ছা করেন, সব দিক দিয়েই দান করেন”। কথাটি অনেকেই বলে থাকেন তবে কথাটি তেমন অর্থবহ এবং জ্ঞানগর্ভ বলে মনে করা যায় না।
কারণ যে ব্যক্তি সব দিক দিয়ে দান পাওয়ার যোগ্য নয়, তাকেও আল্লাহ পাক সব দিক দিয়ে দান করবেন? আল্লাহ পাক তেমন অবিবেচক নন।

তারতম্যানুসারে কাকেও আল্লাহ পাক অল্প, কাকেও মধ্যম এবং কাকেও বা অধিক পরিমাণে দান করে থাকেন, কিন্তু তিনি যাকে দান করবেন তাকে সর্বদিক দিয়েই দান করবেন এমন কোন বাধ্য-বাধকতা নেই ।
তবে তিনি ইচ্ছা করলে কাউকেও সব দিক দিয়ে দিতে পারেন। এমনই একটি ঘটনা হয়ত হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর ক্ষেত্রে ঘটেছিল।

হযরত খাদীজা (রাঃ)-কে আল্লাহ পাক উত্তম চরিত্র দান করেছিলেন। জ্ঞান-বুদ্ধি, বিদ্যা এবং শিক্ষা দান করেছিলেন। সত্য-সততা, নম্রতা, দয়া-দাক্ষিণ্য, মমতা, পবিত্রতা অনেক গুণে বিভূষিতা করেছিলেন।
এগুলো ছাড়া দৈহিক রূপ ও সৌন্দর্য্যের তার কোন তুলনা ছিল না। 

তখন আরব বিশ্বে তাঁর তুল্য রূপসী রমনী অন্য কেহ ছিল না। হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর রূপরাশির মধ্যে কোন রকমের ত্রুটি ছিল না। আল্লাহ পাক হযরত খাদীজা (রাঃ)-কে সব দিক দিয়ে সম্পূর্ণ করে দিয়েছিলেন।
হযরত খাদীজা (রাঃ) যখন কৈশোর জীবন পার হয়ে যৌবনে পদার্পণ করলেন, তখন তার উল্লিখিত রূপ, গুণ ও চরিত্রসমূহ আরও বিকশিত হয়ে উঠতে লাগল ।

হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর বিয়ের পয়গাম

হযরত খাদীজা (রাঃ) আরবের এক বিশিষ্ট গোত্রের কন্যা ছিলেন তাঁর পিতা-মাতা উভয়ই আরবের ঐতিহ্যবাহী ও মর্যাদাশীল প্রাচীন কোরায়েশ বংশোদ্ভূত ছিলেন।
হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর রূপ-গুণ, শিক্ষা-দীক্ষার সুনাম আরবের চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল।
উপরন্তু হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর পিতা খোয়াইলিদ আরবের এক বিখ্যাত ধনবান ব্যবসায়ী ছিলেন। তার অতুল্য ঐশ্বর্য্যের কথা আরবের সবারই জানা ছিল ।

এমনকি সিরিয়া ও ইয়েমেন এলাকায়ও তার ব্যবসা বিস্তৃত ছিল।
তার মত এক বিরাট ধনবানের পরম রূপসী-বিদুষী ও গুণবতী কন্যার পানিগ্রহণের আকাংখা সবার মনেই যে জাগবে তা অতি স্বাভাবিক।
মক্কা ও মক্কার বাইরের বহু পাত্রই হযরত খাদীজা (রাঃ) -এর সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হওয়ার জন্য তার অভিভাবকের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে শুরু
করল ।

দেশের মধ্যে রূপে-গুণে, বংশে, মর্যাদায়, ধন-সম্পদে সর্বদিক থেকে অদ্বিতীয় রমনীকে বিয়ে করার জন্য কার না আগ্রহ জন্মে?
সুতরাং যোগ্য-অযোগ্য যে কোন রকম পাত্রের পক্ষ থেকে অসংখ্য বিয়ের প্রস্তাব আসতে লাগল । মক্কায় তখন ইয়াহুদী, খৃস্টান, এক খোদায় বিশ্বাসী, মুর্তিপূজক, পৌত্তলিক প্রভৃতি বিভিন্ন শ্রেণীর লোক বসবাস করত।

এদের প্রায় সকল শ্রেনীর লোকদের পক্ষ থেকেই প্রস্তাব আসতে থাকে। হযরত খাদীজা (রাঃ) ব্যতীত বিয়ের এত প্রস্তাব আর কারও জন্য আসে নি হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর পিতা খোয়াইলিদ এবং তার আত্মীয়-স্বজনদের প্রায় সকলেই ছিলেন যথেষ্ট বিচক্ষণ এবং সূক্ষ্ণ জ্ঞানী-গুণী। দূরদর্শীতাও ছিল
তাদের অনেক । তাই তারা লোভ-লালসা কিংবা ক্ষুদ্র স্বার্থের শিকার না হয়ে যথাযথ ধৈর্য এবং মনোবলের পরিচয় দিলেন।

পয়গাম প্রেরকদের বিভিন্নদিক খুব সতর্কতার সাথে যাচাই করে এক এক করে সবকটি প্রস্তাবই অনুপযুক্ত ভেবে নাকচ করে দিলেন
এতে হয়ত বা কেহ ক্ষুণ্ণ এবং কেহবা অসন্তুষ্ট হল তারা সেদিকে ভ্রূক্ষেপ করলেন না ।

হযরত খাদীজা (রাঃ) এর তিনটি বিয়ে

অনেকেই বলে থাকেন, হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর পিতৃব্যপুত্র, ধর্মভীরু ও জ্ঞান-তাপস ওয়ারাকা ইবনে নওফেল রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর বিয়ে হওয়ার পূর্বেই পরলোকগমন করেন, তাদের মতে হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বিয়ের প্রস্তাবগুলোর সাথে ওয়ারাকা ইবনে নওফেলের পক্ষ থেকেও একটি প্রস্তাব এসেছিল ।

লোভ-লালসাপরায়ণ লোকদের নিকট হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেল ।
সুতরাং তিনি দ্বিতীয়বার বিধবা হওয়ার পরও তার সাথে পরিণয়ে আবদ্ধ হওয়ার আকাংখা প্রকাশ করে বহু স্থান থেকে বিয়ের প্রস্তাব পূর্বের মতই আসতে
লাগল ।
বিয়ের প্রস্তাব ঠিকই আসতে থাকল, কিন্তু হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর পিতা খোয়াইলিদ কন্যার এরূপ দুবার বৈধব্য হওয়াতে অত্যন্ত ম্রিয়মান এবং বিমর্ষ হয়ে পড়লেন ।

দুঃখে তার হৃদয় ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। পুনরায় কন্যাকে নুতন করে পাত্রস্থ করার মনোভাবই তখন তার ছিল না ।
কিন্তু তার শুভাকাংখী এবং আত্মীয় স্বজনকে তা যথেষ্ট সান্তনা ও প্রবোধ বাক্য দিয়ে বুঝিয়ে বলতে লাগলেন এ বলে যে, কন্যা হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর এখনও যৌবন পার হয় নি ।

তাকে বিয়ে দেয়া আপনারই কর্তব্য। দু' জায়গার ফল শুভ হয় নি বলে সবখানেই যে কুফল ফলবে এর তো কোন অর্থ নেই। আপনি নিজেই যথেষ্ট জ্ঞানী লোক, সবই বুঝেন, আমাদের বেশি বলা শোভা পায় না। তবে আপনার মনটি ভাঙ্গা এবং বেদনার্ত বলে আমরা আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি। আল্লাহ পাক কোথায় কি উদ্দেশে কি করছেন, তার কাজের মধ্যে কি গূঢ় রহস্য নিহিত, তা শুধু তিনিই জানেন ।

তবে আমাদের তো সর্বক্ষেত্রে, সর্ব ব্যাপারে চেষ্টা-যত্ন অবশ্যই করতে হবে। আমাদের হাত গুটিয়ে বসে থাকা উচিত নয়। বিশেষ করে হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর যৌবনের বয়স পার হয় নি।
কাজেই তাকে আমরা আবারও বিয়ে দিতে চাই। তাতে আপনাকে সম্মতি দিতে হবে। আপনজনের এরূপ অনুরোধ এবং পরামর্শে খোয়াইলিদ তা কিছুতেই উপেক্ষা করতে পারলেন না।

পুনরায় তাকে হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর বিয়ের ব্যবস্থা করতে হল ।
নতুন এক প্রস্তাবক ছিলেন খোয়াইলিদেরই এক ভ্রাতুষ্পুত্র। যার নাম ছিল উমাইয়া সাইফী। এ পাত্রটি গুণে-জ্ঞানে, শিক্ষা-দীক্ষায় আগের সব ক'টি অপেক্ষাও উত্তম এবং সুযোগ্য ছিল ।

সুতরাং এ বিয়েও খোয়াইলিদ খুশি মনেই সম্পন্ন করলেন। হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর বৈধব্য দশা আবার দূরীভুত হল । তিনি যথারীতি তৃতীয় স্বামীর গৃহে গমন করে কুলবধুর আসন গ্রহণ করলেন।
হযরত খাদীজা (রাঃ) মাতৃগর্ভে থাকাকালীন তাঁর মাতা যে একটি অপূর্ব স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে স্বপ্নের ফল বাস্তবায়িত হতেই হবে। 

যেহেতু তাঁর সে স্বপ্ন অলীক ছিলনা, বরং তা ছিল স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর পরিণত জীবন প্রবাহের প্রতি স্পষ্ট ইশারা ।
কিন্তু তার জীবনে এগুলোর কোন দিকেরই সূচনা এখনও হয় নি। অপর পক্ষ তখনও যথাস্থানে উপনীত হয় নি; কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই সম্মুখে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছিল ।

তাই এ দিকে হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর ক্ষেত্রে আমরা যাই দেখি না কেন, নির্দিষ্ট স্থানে তাঁকে পৌছে দেয়ার ক্ষমতা ও দায়িত্ব আল্লাহ পাকের কাছে ।
তাই সে ব্যাপারে আমাদের কিছু ভাববার কিংবা দ্বিধাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নাই । কারণ আল্লাহ পাক নিজেইতো এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যে, হযরত সর্বপ্রথম সহধর্মিনী। 

খাদীজা (রাঃ)-কে করবেন দুনিয়ার শেষ নবী হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর
একাধারে তাঁর মহান দায়িত্ব পালন এবং কর্তব্য সাধনে উৎসাহ ও প্রেরণাদানকারিনী, তিনি ইসলামের সেবায় মুসলিম জাহানের সর্বপ্রধান মাতৃত্বের
আসন গ্রহণ করবেন।

আল্লাহ পাকের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কি করে সে খাদীজাতুল কোবরা (রাঃ) বসে থাকতে পারেন এক সাধারণ গৃহের কুলবধু হিসেবে?
এ সাময়িক ঘটনার অবসান ঘটিয়ে আল্লাহ পাক হযরত খাদীজা (রাঃ)-কে যথাস্থানে পৌঁছে দিবেন তাই গন্তব্যে পৌছার পথ পরিস্কার হওয়া দরকার। সে প্রয়োজনে হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর তৃতীয় স্বামীও বিয়ের মাত্র কয়েকদিন পরেই ইনতেকাল করলেন।

হযরত খাদীজা (রাঃ) কি আর করবেন। অদৃষ্টের লেখা স্বীকার করে নিয়ে এবারও তিনি বিধবা বেশে পিতার গৃহে প্রত্যাবর্তন করলেন ।
হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পূর্বেকার এ বিয়েগুলি সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে কিছুটা মতভেদ দেখা যায়। কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে, হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর পূর্বে মাত্র দুটি বিয়ে হয়েছিল। 

উমাইয়া সাইফী নামক তাঁর চাচাতো ভাইয়ের সাথে তার কখনও বিয়ে হয় নি ।
কোন কোন ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন যে, তার প্রথম স্বামীর ঘরে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি শৈশবেই মৃত্যু বরণ করেন নাই; বরং তিনি হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নবুয়্যত লাভ ও ইসলাম প্রচার শুরুর কাল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। তার নাম ছিল হারিস ইবনে হাওলা ।

তিনি প্রাথমিক অবস্থায়ই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। অতঃপর একদিন তিনি মুসলমানদের উপর মক্কার কোরায়েশদের হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে নিজেই শাহাদাত বরণ করেছিলেন। মক্কায় কোরায়েশদের হাতে প্রথম শহীদ তিনি হয়েছিলেন।
উপরোক্ত দ্বিবিধ বর্ণনার মধ্যে কোনটি ঠিক ও কোনটি ঠিক না আমরা সে বির্তকে না গিয়ে মূল আলোচনায় প্রত্যাবর্তন করছি।

হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর যখন দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল, সে সময় তার গর্ভধারিনী জননী মৃত্যু বরণ করেছিলেন।
অতঃপর হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর তৃতীয় বিয়ের পর যখন পুনরায় বিধবা হলেন, তখন তার পিতা খোয়াইলিদ বার্দ্ধক্যের একেবারে শেষ সীমায় পৌঁছে গেলেন। সে বয়সে তার নিজের পক্ষে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব ছিল না।

অথচ তার কোন পুত্র সন্তানও ছিল না। তাই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিলেন যে, আল্লাহ পাক যা করেন সব কিছু ভালর জন্যই করেন। আর হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর জন্য কোথাও বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন নি ।

আর হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর জ্ঞান-বুদ্ধি ও যোগ্যতা সম্পর্কে তার যথেষ্ট আস্থা ছিল। তিনি মনে করলেন, খাদীজা (রাঃ) নিজেই যোগ্যতার সাথে তার ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন ।