হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর জীবনী বই - Part 17

হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর জীবনী বই - Part 17

হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর মর্যাদা

উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর মর্যাদার আসন যে কত উচ্চে তা কারও পক্ষে ধারণা করাও সম্ভব নহে। তিনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রথমা স্ত্রী, সারা জাহানের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী। তিনি একদিকে বুদ্ধি জ্ঞান-বিচক্ষণতা দিয়ে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রধান পরামর্শদাতা ও মনে উৎসাহ, উদ্যম, প্রেরণদাতার কাজ আঞ্জাম দিতেন।

অন্যদিকে তাঁরই বিপুল ধন-সম্পদ দিয়ে ইসলামের প্রথমাবস্থায় ইসলাম ও মুসলমানদের নানাবিধ উপকার সাধিত হয়েছিল। একদিকে যিনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর সহধর্মিণী হিসেবে তার মনোরঞ্জনের দায়িত্ব পালন করতেন ।
অন্যদিকে তিনি তাঁর প্রতি মাতৃসুলভ স্নেহ-আদর-যত্ন এবং সজাগ-সতর্ক দৃষ্টি রেখে তাঁর অসহায় এবং সঙ্গিহীন জীবনের অভাব পূরণ করতেন। কেহ কোন মহিলাকে দিয়ে একাধারে এতগুলি উপকার লাভ করতে পারে না ।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর ইনতেকালের পরে অনেকগুলি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু হযরত খাদীজা (রাঃ) তাঁর যে সকল কাজে এসেছিলেন অন্য কাকে দিয়ে তা সম্ভব হয় নাই।
তাঁকে যেন আল্লাহ দুনিয়ায় মহানবীর যোগ্য সহচরী, সহধর্মিনী ও অর্ধাঙ্গিনী হবার পূর্ণ যোগ্যতা দিয়েই সৃষ্টি করেছিলেন। আর এটাই হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর প্রধান মর্যাদা। এর মাধ্যমে হযরত খাদীজা (রাঃ) মর্যাদায় সব মহিলাদের উর্ধ্বে।

এটাই তাঁর মূল এবং অনন্য বৈশিষ্ট্য। তাঁর বৈশিষ্ট্যের অভাব নেই। এখানে তার মর্যাদা সম্পর্কিত হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর দুটি হাদীসের মর্ম উল্লেখ করে প্রসংগটি সমাপ্ত করছি।
একদিন হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন যে, আসমান ও যমিনের মধ্যবর্তী রমণীদের মধ্যে হযরত মরিয়ম ও হযরত খাদীজা (রাঃ)-ই সেরা মর্যাদাশীল
। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর পূর্ববর্তী যমানায় হযরত মরিয়ম শ্রেষ্ঠ মহিলা।

তারপর আবার হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর যমানায় নারীদের মধ্যে হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর আসন সকলের উপরে, এটা সন্দেহাতীত।
এতে বলা যায় যে, হযরত রাসূলে করীম (সাঃ)-এর যুগের নর-নারীদের যেহেতু তারপূর্ব যুগের নর-নারীদের তুলনায় উত্তম, সেহেতু হযরত রাসূলে করীম (সাঃ)-এর সহধর্মিণী হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর মর্যাদা হযরত মরিয়ম অপেক্ষা বেশি ।

অন্য একটি হাদীস দিয়ে হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর মর্যাদা উপলব্ধি করা যায়। উক্ত হাদীসের মর্ম হল, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর অদ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ স্ত্রী ছিলেন হযরত আয়েশা (রাঃ)। তিনি মনে মনে এরূপ বাসনা পোষণ করতেন যে,
আহা! আমি যদি হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর মত ভাগ্য নিয়ে জন্মলাভ করতাম, তবে আমার জীবন ধন্য হত ।

হযরত খাদীজা (রাঃ)-কে আর একটি ভাগ্য তাঁকে মর্যাদার উচ্চ শিখরে পৌঁছিয়ে দিয়েছে। তা হল, খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতিমা জোহরা (রাঃ) যার সম্পর্কে হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিজের উক্তি হল, তিনি হবেন বেহেশতবাসীনি রমনীদের সম্রাজ্ঞী। তাঁর মত রমণীকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন হযরত খাদীজা (রাঃ)।

হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর অনন্য বৈশিষ্ট্য

উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদীজা (রাঃ) এর অনন্য বৈশিষ্ট্যের অভাব নেই। উহার সংখ্যা নিরুপণ করা সহজ সাধ্য নহে। তবে এখানে তাঁর কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করছি। এটা দিয়েই তাঁর মযার্দার আসন উপলব্ধি করা যায় ।
হযরত খাদীজা (রাঃ) ছিলেন মানব জাহানের মহা মানবের সর্বপ্রথম এবং সর্বপ্রধান সহধর্মিণী। 

তাঁর মত মহান ব্যক্তির স্ত্রী হওয়ার মত মহাসৌভাগ্য লাভ যেমন তেমন কথা নহে । তদুপরি তাঁর প্রথম এবং প্রধান স্ত্রী হওয়াতো আরও বড় কথা ।
হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বেশ কয়েকজন রমণীকে বিয়ে করেছিলেন এবং একই সঙ্গে তাঁরা একই সময়ে অনেকজনই ছিলেন। 

বর্ণিত আছে যে, হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর গর্ভের সন্তানদের ছাড়া একমাত্র মারিয়া কিবতিয়ার গর্ভে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর একজন পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন
যার নাম ছিল ইব্রাহীম। তবে শৈশবেই তিনি পরলোক গমন করেছিলেন।

উম্মুল মো'মেনীন হযরত খাদীজাতুল কোবরা (রাঃ)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর ঔরসে যতজন সন্তান জন্মলাভ করেছিলেন তাঁরা সব কয়জনই হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন ।

হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) -এর বংশ রক্ষা হয়েছে হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর মাধ্যমে। হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর কন্যা হযরত ফাতিমা (রাঃ)-এর সন্তান-সন্ততি দিয়ে দুনিয়াতে হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর বংশ বিস্তার ঘটছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত তা স্থায়ী থাকবে।

হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর বেশ কয়েকজন স্ত্রীই হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর ইনতেকালের পরেও জীবিত ছিলেন। ভাগ্যবতী হযরত খাদীজা (রাঃ) মৃত্যুর সনটি শোকের বৎসর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ইসলাম নূতন এবং একান্ত দূর্বল অবস্থায় যে দুজন লোকের আনুকুল্য বিশেষ উপকার লাভ করেছিল, তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন হযরত খাদীজা (রাঃ) ।
হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর প্রচারিত ইসলাম সমগ্র নর ও নারীর মধ্যে বিনা দ্বিধায় সর্বপ্রথম যিনি স্বীকার করেন তিনি ছিলেন হযরত খাদীজা (রাঃ) ।

নেক কাজের প্রতিদানরূপে বেহেশত দানের প্রতিশ্রুতি ও সুসংবাদ আল্লাহ নারীদের মধ্যে খাদীজা (রাঃ)-কেই প্রদান করেছেন ।
হেরা গুহায় বসে হযরত জিব্রাঈল (আ) হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মাধ্যমে খাদীজা (রাঃ)-কে নিজের ও আল্লাহর পক্ষ থেকে সালাম দিয়েছিলেন, যা অন্য কোন মহিলারই ভাগ্যে হয় নাই ।

হযরত খাদীজা (রাঃ) এর জ্ঞানের তুলনা নারী জগতের মধ্যে বিরল। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাঁকে সর্বদিক দিয়েই বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছিলেন। এখানে একটি নমুনা উল্লেখ করছি।
একটি হাদীস মারফত জানা যায় জিব্রাঈল (আ) মারফত নির্দেশিত হয়ে হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হযরত খাদীজা (রাঃ)-কে আল্লাহ পাকের ও ফেরেশতা জিব্রাঈলের সালাম পৌঁছিয়ে দিলেন।

হযরত খাদীজা (রাঃ) এ বিষয় অজানা ছিল না যে, কেহ সালাম দিলে তাঁকে কি ভাবে সালামের জবাব দিতে হয় ।
কিন্তু তিনি এ ধারণা পোষণ করতেন যে, মানুষের মত এক ক্ষুদ্র ও নগণ্য জীব আল্লাহ পাকের মত মহান সত্তা ও শানের অধিকারীকে কোন স্পর্ধায় সালামের জবাব দিতে পারে?

ধৃষ্টতারই নামান্তর । এটা কিছুতেই সম্ভব নয়, উচিতও নয়। মানুষের পক্ষে এ কাজ পরম
মানুষ পারে শুধু আল্লাহর গুণ কীর্তন করতে। আল্লাহর প্রতি সালাম বা শান্তি বর্ষণের কথা বলা যায় কোন অধিকারে। এটা তো আল্লাহর শানেরও
বিপরীতধর্মী কথা।

হযরত খাদীজা (রাঃ) তারপ্রতি আগত আল্লাহ ও জিব্রাঈলের সালামের জবাব দিতে গিয়ে স্বীয় বুদ্ধিমত্তা গুণে এ কথাগুলি চিন্তা করে তিনি এক অতি বিচক্ষণতাসূলভ সালামের জবাব দিলেন, তিনি জবাব দিলেন এভাবে।
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা (স্বয়ং হলেন) শান্তি। আমার সালাম পৌঁছুক জিব্রাঈলের উপরে এবং আপনার উপরে ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাঃ)।
জ্ঞানের তীক্ষ্ণতা কত বেশি থাকলে এ ধরণের চিন্তা আসতে পারে।

হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁকে এত বেশি ভালবাসতেন যে, মৃত্যুর পরেও তাঁর কথা কিছুতেই ভুলতে পারেন নাই।
হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর একদা তাঁর ভগ্নি হালাহ হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করতে আসেন। হালাহ ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাহিলেন।

তাঁর কন্ঠস্বর হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর কন্ঠস্বরের সাথে হুবহু মিল ছিল হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হালার কন্ঠের আওয়াজ শুনে যেন সন্ত্রস্ত হয়ে উঠলেন এবং বললেন, হালাহ নাকি? সাথে সাথে তিনি হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর কথাও স্মরণ করলেন। তখন হযরত আয়েশা (রাঃ) সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর মনে এ জিনিসটা ভাল লাগল না।

তিনি বলে ফেললেন, আপনি এক মৃত বৃদ্ধার কথা বার বার স্মরণ করেন আল্লাহ পাক কি আপনাকে তদপেক্ষা উত্তম স্ত্রী দান করেন নাই?
হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর কথায় হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) অত্যন্ত উষ্ণতার সাথে বললেন, আল্লাহর কসম, হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর চাইতে উত্তম স্ত্রী আমি লাভ করি নাই ।

যখন দুনিয়ার লোক কাফির-মুশরিক ছিল, তখন খাদীজা (রাঃ)-ই আমার কথায় ঈমান এনে ইসলাম গ্রহণ করেছিল। যখন সব লোক আমাকে অবিশ্বাস করেছিল, তখন একমাত্র সে-ই আমার কথায় বিশ্বাস করেছিল।

সে তাঁর সমস্ত ধন-সম্পদ পরম খুশিতে আমার হাতে তুলে দিয়েছিল হযরত আয়েশা (রাঃ) বললেন যে, আমি সেদিন থেকে বুঝতে পারলাম, হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হযরত খাদিজা (রাঃ)-কে কখনই ভুলতে পারেন না এবং ভুলতে পারার কথাও নয় ।

বৈশিষ্ট্যে খাদিজা তাহিরা (রাঃ)

বিবি খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা-এর বৈশিষ্ট্যাবলীর সংখ্যা নিরুপণ করা দুঃসাধ্য ব্যাপার; তবে এখানে আমরা তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহের পরিচয় দান করছি
1
বিবি খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা-এর সর্বপ্রথম বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি ছিলেন নিখিল বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানবের সর্বপ্রথমা এবং সর্বপ্রধান পত্নী একে তো রাসূলুল্লাহ্ (রাঃ) পত্নী হওয়ার ভাগ্য লাভ করা সহজ নয় । তদুপরি প্রথমা পত্নীর মর্যাদা লাভ আরও অতি বড় কথা ৷
বিবি খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা মহা ভাগ্যবতী রমণী বলে এ দুই বৈশিষ্ট্যেরই অধিকারিণী হয়েছিলেন।

তাঁর দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য। যদতিন তিনি জীবিত ছিলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বহু বিবাহ করা সত্ত্বেও ততদিন দ্বিতীয় বিহা করেন নি।
তৃতীয় বৈশিষ্ট্য এ যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বিবিভন্ন পত্নী রাসূলুল্লাহ্র মৃত্যু পরেও জীবিত ছিলেন কিন্তু খাদীজা (রাঃ) আনহা তাঁর জীবদ্দশায়ই তাঁরই হারেত উপর মস্তক রেখে প্রাণত্যাগ করেন ।

চতুর্থ বৈশিষ্ট্য এই যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জীবনে বহু শোক পোহাতে হয়েছিল । বহু আত্মীয়, সন্তান, স্ত্রী তাঁর সম্মুখে মৃত্যুবরণ করেছিলেন ।
কিন্তু তার পরম প্রিয়া খাদিজা (রাঃ) যে সনে প্রাণত্যাগ করেন, সে সনটিই রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর শোকের বছর নামে আখ্যায়িত হয়েছে।

পঞ্চম বৈশিষ্ট্য হলো, মারিয়া কিবতিয়ার গৃহে একমাত্র ইব্রাহীম ছাড়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সব সন্তান বিবি খাদীজার উদরে জন্মেছিলেন । আর এর মাধ্যমে দুনিয়ার বুকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বংশ বিস্তার লাভ সম্ভব
হয়েছে। 

ষষ্ঠ বৈশিষ্ট্য এই যে, বিবি ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা-এর মত কন্যা রত্ন, যিনি “সাইয়্যিদাতুননিসা” অর্থাৎ রমণীকুলের বাণী ও “খাতুনে জান্নাত” অর্থাৎ বেহেশতের সম্রাজ্ঞী আখ্যায় ভূষিত হয়েছেন, তাঁকে বিবি খাদিজা (রাঃ)-ই এসব করেছিলেন।
সপ্তম বৈশিষ্ট্য হলো, ইসলামের প্রথমাবস্থায় এটা দুইজন লোকের অর্থানুকূল্যে বিশেষ উপকৃত হয়েছিল এর একজন পুরুষ এবং অন্যজন রমণী। 

সে মহা পুরুষের নাম আবুবকর (রাঃ) এবং উক্ত রমণী ছিলেন বিবি খাদিজা (রাঃ)। অষ্টম বৈশিষ্ট্য এই যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) প্রচারিত ইসলাম ধর্ম সর্বপ্রথম যে মহিলা গ্রহণ করেছিলেন, তিনি বিবি খাদীজা (রাঃ)।
নবম বৈশিষ্ট্য হলো, সব নর ও নারীর মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারিণী ও বিবি খাদিজা (রাঃ) ।

দশম বৈশিষ্ট্য এই যে, পুণ্যকর্মের প্রতিদান রূপে বেহেশত দানের প্রতিশ্রুতি ও সুসংবাদ আল্লাহ্পাক ফাতিমা (রাঃ) ব্যতীত এক মাত্র এক মহলিাকেই জানিয়ে দিয়েছেন, সে মহলিা অন্য কেউ নয় । তিনি বিবি খাদিজা (রাঃ)।